বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে গত ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে ঢাকা বিভাগের বাঙলা মূকাভিনয় উৎসব অনুষ্ঠিত হল। উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সুদূর আমেরিকা থেকে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাইম আইকন কাজী মশহুরুল হুদা। সম্মানিত অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের প্রতিষ্ঠাতা- পরিচলক বাবুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশানের চেয়ারম্যান জাহিদ রিপন, সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুব আলম এবং বাংলাদেশ পথমূকাভিনয় পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল সোহাগ আশরাফ। এছাড়া আয়োজনের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও সম্পাদক রিজোয়ান রাজন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক (যোগাযোগ) সোলেমান মেহেদী। আলোচকগণ বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের দেশব্যাপী এই আয়োজনকে মূকাভিনয় শিল্পের বিকাশের জন্য বড় একটি উদ্যোগ হিসাবে বিবেচনা করেন। একই সাথে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের সামগ্রিক কর্মকান্ডকে নিঃস্বার্থ ও মহত বলে উল্লেখ করেন। উদ্বোধনী আয়োজন শেষে ছয়টি মূকাভিনয় দলের পরিবেশনার মাধ্যমে উৎসবের সমাপন হয়। দলগুলো হল… মূকবলাকা, মাইম ট্রুপ, শ্রুতি মাইম দল, নওগাঁ মাইম থিয়েটার, প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট এবং সেন্টার ফর তাজ উদ্দীন আহমদ রিসার্স এন্ড এক্টিভিজম ( সিতারা)’র সহযোগিতায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্কুল আমাদের পাঠশালা। উৎসবে লক্ষণীয় বিষয় ছিল মূকাভিনয়ের চিরাচরিত সাদাকালো টাইট পোশাক এবং সাদা মেকাপের পাশাপাশি সাধারণ মেকাপ ( ফাউন্ডেশন ব্যবহার) এবং চরিত্র অনুযায়ী নাটকীয় পোশাকের ব্যবহারেও মূকাভিনয় পরিবেশিত হয়। বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের ইতিহাস- ঐতিহ্য, লোক উপাদান, মানুষের জীবন-যাপন, বিশ্বাস, রুচি, অভ্যাস ইত্যাদির সমন্বয়ে বাংলাদেশের মূকাভিনয় রূপ বিনির্মাণে আগ্রহী। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় ৬টি কর্মশালা, ৫টি উৎসব এবং ঢাকায় কাজী মশহুরুল হুদার তত্তাবধানে বাঙলা মূকাভিনয়ের একটি মডেল প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং শীঘ্রই জাতীয় ভাবে দেশব্যাপী মূকাভিনয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য গতকালের আয়োজনে সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি, উল্লেখযোগ্য মূকাভিনয় সংগঠক, বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পী ও বোদ্ধা দর্শকদের উপস্থিতি ছিল। সমগ্র আয়োজনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেন নাট্য ও মূকাভিনয় সংগঠক ফরিদ বাবু।