রংপুর বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাঙলা মূকাভিনয় উৎসব- ২০২৩’। গতকাল রোববার, ১৮ জুন সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় টাউন হল মঞ্চে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক মাইম আইকন কাজী মশহুরুল হুদার সভাপতিত্বে উক্ত আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুর জেলা শাখার সভাপতি নাট্যজন বিপ্লব প্রসাদ, সাধারণ সম্পাদক গণসঙ্গীত শিল্পী মাজেদুর রহমান ঝন্টু, জাতীয় কবিতা পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি কবি মনজিল মুরাদ লাভলু ও রংপুর পদাতিকের সভাপতি নাট্যজন বিজয় প্রসাদ তপু। এছাড়া আলোচনার শুরুতে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক ও পরিচালক রিজোয়ান রাজন স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে এই উৎসবের অন্যতম সংগঠক, মুক্তবিহঙ্গ মূকাভিনয় সংগঠনের প্রধান রবিউল আলম রবিকে ‘বাঙলা মূকাভিনয় সংগঠক সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মূকাভিনয়শিল্পী মাহবুব আলমের নেতৃত্বে শব্দজট শিরোনামে উদ্বোধনী মূকাভিনয় পরিবেশন করা হয়। উৎসবের মূল আয়োজনে যাদের মূকাভিনয়ে মুখর হয়েছিল মঞ্চ সে দল ও প্রযোজনাগুলো হল- প্যান্টোমাইম মুভমেন্টের ‘নদী, মাছ ও একজন হরিশঙ্কর’, রংপুর পদাতিকের ‘তোতা কাহিনী’, মুক্তবিহঙ্গের ‘ভাষণে অনুপ্রেরণা’, নন্দন মূকাভিনয় ও অভিনয় স্কুলের ‘ছায়া মানব’, মিরর মাইম থিয়েটারের ‘একটি ঘুড়ির আকাশ’, এবং সবশেষে রংপুর পদাতিক ও মুক্তবিহঙ্গের যৌথ প্রযোজনা ‘দুখীর ঈদ আনন্দ’।

এটি বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের দ্বিতীয় উৎসব। প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। গবেষণা কেন্দ্রটি গত বছর ঢাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের মূকাভিনয়ের নিজস্বতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতায় হাজার বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে মূকাভিনয়ের রূপ-রীতি নির্মাণের গুড়ু দায়িত্ব পালন করছে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্র। আশার কথা হল ইতিমধ্যেই দেশের মূকাভিনয়ে তার প্রভাব পরতে শুরু করেছে এবং চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে সকলের সহযোগিতায় এই আয়োজন আরও ব্যাপকতা পাবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ও ১৮ জুন দু’দিনব্যাপী বাঙলা মূকাভিনয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উৎসব মঞ্চে কর্মশালার শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়।

উৎসব ও কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ছিল মুক্তবিহঙ্গ ও রংপুর পদাতিক। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রংপুর জেলা শাখা।