‘মূকভাষায় বাংলার সংস্কৃতি’ এ প্রতিপাদ্যে যশোরে খুলনা বিভাগীয় মূকাভিনয় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে যশোরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সম্মাননা প্রদান ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্যদিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী পর্ব শেষে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মিউট মঞ্চস্থ করে ‘ফিসফাস’, চট্টগ্রামের প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট মঞ্চস্থ করে ‘নদী-মাছ এবং একজন হরিশংকর’ ও ‘বুলেট’, যশোরের শব্দ থিয়েটার মঞ্চস্থ করে ‘গাছ ও প্রকৃতি’ ও প্রত্যয় থিয়েটার মঞ্চস্থ করে ‘ন্যাচার’।

যশোরে প্রথমবারের মতো এ উৎসবে মূকাভিনয় উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে।
জেলা পর্যায়ে এমন আয়োজন করতে পেরে খুশি আয়োজকরা।

বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও সম্পাদক রিজোয়ান রাজন বলেন, ‘বাংলাদেশের মূকাভিনয় বাংলার হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতায় বিশ্বে নব সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। গ্রামবাংলার ঋদ্ধ সংস্কৃতিই মূকাভিনয়ের উপাদান এবং এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি শিল্পের রয়েছে নিজস্ব ভাষা। আমরা যখন কোনো শিল্পের ভাষা অন্তঃকরণ করতে পারি, তখনই শুধু সেই শিল্পের পরিপূর্ণ আস্বাদ লাভ করতে পারি। মূকাভিনয়ের ভাষা হচ্ছে সর্বজনীন ও শাশ্বত।’

উদ্বোধনী পর্বে অতিথি ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু ও জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সানোয়ার আলম খান দুলু।

সুদূর লস এঞ্জেলেস থেকে ভার্চুয়ালি এ উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাইম আইকন কাজী মশহুরুল হুদা।
তিনি বলেন, ‘মূকাভিনয় শিল্প মাধ্যম কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটায়। নতুন প্রজন্মের মাঝে এই শিল্প মাধ্যমকে পরিচিত করাতে পারলে জাতি সমৃদ্ধ হবে।’

তিনি সরকারের কাছে শিল্পকলা একাডেমীতে মূকাভিনয় শিল্পের বিভাগ খোলার দাবি জানান।

উদ্বোধনী পর্বে বাঙলা মূকাভিনয় গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রত্যয় থিয়েটার যশোরের পরিচালক শিপন চৌধুরীকে সম্মাননা জানানো হয়।